1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

‘ব্যাংক অব ইংল্যান্ড’ থেকে ৫ হাজার কোটি পাউন্ড উধাও!

  • Update Time : শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৫৫ Time View

প্রত্যয় ইউরোপ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব ইংল্যান্ড’ থেকে ৫ হাজার কোটি (৫০ বিলিয়ন) পাউন্ড উধাও হয়ে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সঠিক পথে এই অর্থের কোনো স্থানান্তর বা লেনদেন হয়নি, এমনকি কোথাও সঞ্চয়ও করা হয়নি। শুক্রবার দেশটির একদল আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, হারিয়ে যাওয়া টাকার খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্যাংক নোট নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।

বিবিসি জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে প্রথম যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই বিপুল অর্থ হারানোর বিষয়টি নজরে আনে দেশটির ন্যাশনাল অডিট অফিস। হিসাব থেকে হারিয়ে যাওয়া এই ৫০ বিলিয়ন পাউন্ড দেশটির মোট ব্যাংক নোটের তিনভাগের এক ভাগ। ধারণা করা হচ্ছে, নোটগুলো পাচার হয়ে গেছে। বিপুল এই অর্থ এখন আর অর্থনীতির স্বাভাবিক হিসাবের খাতায় নেই।

আইনপ্রণেতারা বলছেন, এই অর্থের খোঁজে ব্যাংকটিকে অবশ্যই আরও যত্নবান হতে হবে। কারণ, বিপুল অংকের এই অর্থ অবৈধ উদ্দেশ্যেও ব্যবহার হতে পারে, যার দায় সরকারের নীতি ও সরকারের কোষাগার এড়াতে পারবে না।

হাউস অব কমনসের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) প্রধান মেগ হিলার বলেন, ‘এই অর্থ হয়তো কোথাও সরিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ ব্যাপারে কিছু জানে না। এমনকি কে বা কারা এটা করেছে বা কেন এই অর্থের স্থানান্তর হয়েছে, সে ব্যাপারে কারও ভেতর তেমন কোনো উদ্বেগও দেখা যাচ্ছে না। নিখোঁজ ৫০ বিলিয়ন পাউন্ডের হিসাব পেতে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত।’

ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, ‘জনসাধারণ কেন নগদ ব্যাংক নোট কাছে রাখতে চান সেটা নিশ্চয়ই ব্যাংককে ব্যাখ্যা করতে হবে না। এর অর্থ এই নয় যে, নোটগুলো হারিয়ে গেছে।’তিনি জানান, ব্যাংকের দায়িত্ব সরকারের চাহিদা মতো অর্থ সরবরাহ করা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং করে যাবে।

২০১৮ সালে প্রকাশিত ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টস’র একটি প্রতিবেদন জানায়, ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও, বেশিরভাগ উন্নত অর্থনীতির দেশে নগদ অর্থের চাহিদা বাড়ছে। অক্টোবরে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের চিফ ক্যাশিয়ার সারাহ জন বলেন, ‘আমরা লেনদেনের জন্য নগদের ব্যবহার বাড়তে দেখছি। ২০০৮ সালে আর্থিক সংকটের পর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ কারণেও এটি হতে পারে।’

এই বছর করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের মধ্যে নোট ও কয়েনের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে যায়। তবে, লকডাউন শিথিল করা হলে মানুষ মহামারিজনিত কারণে বাড়িতে আরও নগদ মজুদ করতে শুরু করেন।

বিবিসি জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ হারানোর মতো ভুক্তভোগী দেশ শুধু যুক্তরাজ্যই নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশই এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..